ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ার চরণদ্বীপ চিংড়িজোনে ডাকাতি : হামলায় আহত ৭

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপের কিল্লাহ সংলগ্ন এলাকার ২৫০ একর মৎস্য চিংড়িঘেরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ওইদিন গভীর রাতে ১৮-২০ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল ঘেরে হানা দিয়ে ঘের পরিচালক ও কর্মচরীদের ব্যাপক মারধর করে প্রায় ঘন্টা ব্যাপী লুটপাট চালায়। ডাকাত দল এসময় ঘেরের মাছ, জাল, নগদ টাকা, চাল ডাল ও মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণসহ প্রায় ৪ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এসময় ডাকাত দলের হামলায় আহতরা হলেন, ঘের পরিচালক বশির আহমদ (৬০), ঘের কর্মচারী মোক্তার আহমদ (৩৮), নুরুল কবির (৩২), সাহাব উদ্দিন (৩৫), বাবুলু (৪৫), ফারুক (৩৪), হারুন(৩২)। আহতদের চকরিয়া ও কক্সবাজারে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ কিল্লাহ সংলগ্ন এলাকার ২৫০ একর মৎস্য চিংড়িঘেরে মাছ চাষ করে আসছিল বশির আহমদ ও তার অপারপর বেশ কজন মৎস্য চাষী। গত ২৫ জুলাই গভীর রাতে ঘের ভরামহুরীর বাসিন্দা মামুনুল করিমের নেতৃত্বে ১৮-২০ জনের একদল ডাকাত অবৈধ অস্ত্র-সশস্ত্র নিয়ে রাতে ঘেরে হামলা চালিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে ঘেরের পরিচালক বশির আহমদ ও কর্মচারীদের মারধার করে মাছ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। যার অনুমানিক মূল্য প্রায় তিন লাখ ৯৮ হাজার টাকা।
এ ঘটনায় ঘের পরিচালক বশির আহমদ বাদী হয়ে মামুর রশিদসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক চকরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। মামলার বাদী চকরিয়া পৌরসভার কাহারিয়া ঘোনার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মো: জুয়েল ইসলাম বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এবং ঘটনার সুষ্ট তদন্ত ও আসামীদের গ্রেফতারে থানার এসআই রাজিব চন্দ্র সরকারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ( মামলা নং চকরিয়া থানা ৩৩/৩১৩ তারিখ ২৮ জুলাই ২০২১ইং)
ঘের পরিচালক বশির আহমদ আরো জানায়, চিংড়ি ঘেরে মাছ উৎপাদন দেখে লোভে পড়ে মামুনুর করিম এ ধরণের ডাকাতির ঘটনা সংগঠিত করেছে।
তিনি আরো জানায়, মামলার পরবর্তী মামুনুর করিম ও তার লোকজন মামলার বাদীকে  মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এতে করে বশির আহমদ ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

পাঠকের মতামত: